ফিরতে ফিরতে আবার কোথায় ফিরে তাকাবো?
শূন্যবিন্দু, স্বশূন্যতায় ফিরে তাকাবো?
ফিরতে আমার ইচ্ছে হয় না, চক্ষুচরিত গোল পৃথিবী
তাদের ভিতর এখন শুধু আবর্তিত যুদ্ধ সবার
আবর্তিত অমানবিক আকাভক্ষা চায়!
ফিরতে আমার ইচ্ছা হয় না; ফিরতে ফিরতে ফিরে তাকাবো?
কোথায় অধঃপতন স্রোতের গলাকাটা লাশ বিপ্লবীদের বুকের ক্ষতে
ফিরে তাকাবো? স্বেচ্ছাচারের তরবারীতে ফিরে তাকাবো?
ইচ্ছে হয় না! তবুও বড়ো সাধ বাসনা, ফিরে তাকাই :
প্রভু আমার ফিরে তাকাবার পৃথিবীখানি পাঁচ মিনিটের জন্যে না হয়
ফিরিয়ে দেওয়ার এলাজ করো।
দরগাতলায় মানত দেবো–এই দেহখান ধর্মে নেবো :
শূন্য থেকে পূণ্য হবো। রক্তে ঘেঁবো রামধনু রং!
প্রভু আমার তবুও যদি জগতখানি এলাজ করে!
যদি দেখাও দুঃখ দহন, ছায়াপূরণ পথের কোলে চাঁদের তলে শস্য জ্বলে!
বনমোরগের মৃদঙ্গ আর অন্ধকারে বনের বাহার
বড়েগোলামের খেয়াল গাচ্ছে : ফিরে তাকানো এলাজ করো :
চরের সিঁদুর। মায়ের শরীর : সূর্যখোলা বীজের ধনুক
দিগন্তে দূর হাওয়ার ওপার : উড়ে আসার উড়ন্ত ব্রীজ–কাঁপাস তুলো
স্বপ্নগুলো এলাজ করো, সর্বসৃষ্টি দ্যুতির মূলে : ফিরে তাকাবো!