১
অযুত মূর্খতা বেঁধে বেঁধে লক্ষ নিযুত কোটি
তোমার শিক্ষালয়ে ছাঁচে গড়া জীবন আমার
শিখিয়েছ মেনে নিতে হয়, যখন নির্বাচিত তুমি
যা কিছু ইচ্ছা করা যায় ক্ষমতার রক্তচক্ষু একম ও অদ্বিতীয়ম, তুমিই বিশ্বরূপ তুমিই দর্শন
এ গনতন্ত্র, এ জয়, এমনই শিখিয়েছে আমায়
২
তুমি জান সরে গেলে ভাবনার ঢেউ, নিম্নচাপ ঘনীভূত হবে
প্রবল ভাসানের ডাক ভাসাতে পারে
তাই জেলখানা সংশোধনাগারে করেছ বদল সময়
সূর্যস্নাত মস্তিষ্ক সেখানে গুদাম হবে
দেশদ্রোহের নানাবিধ আখ্যায়, ঋতু বৈচিত্রের পালাগান রচনা তোমার, শুধু আমাকে সুনাগরিক হতে হবে তোমার ছায়ায়
সব লুঠ হয়ে যাবে, বন্দর নগর রাস্তাঘাট, খনিজ সম্পদ থেকে আদিবাসী গ্রাম, গাড়ি পিষে দেবে
কৃষকের প্রাণ, দলিত মানে অচ্ছুৎ, ধর্ষণ অপমান
ভেদাভেদ-মন্ত্র, জাতপাত , মেনে নিতে হবে
কড়িকাঠে ঝোলে খোলা তরোয়াল, ফাঁসই শুধু
জানে তোমার নির্মাণ, বহুপাঠে যা করেছ সম্ভার
৩
মন্ত্রদোষ স্খলিত পচনের পর ধৃষ্টতার মানদণ্ড বাঁধা থাকে না
শিকড়ে রসদ মাটির গভীরে থাকে,তোমার অচেনা
অথবা অগ্ন্যুৎপাত, ধাক্কাটা জোরে হলে
তৈরি থেকো – হে সম্রাট
ক্ষমতা জনগণ-ও কেড়ে নিতে জানে
যদিও প্রাচীন এ উপসংহার