স্বাধীনতার গল্প
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট (১৩৫৪ বঙ্গাব্দের ২৯ শ্রাবণ, শুক্রবার) ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির শাসনকর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ১৫ই অগাস্ট তারিখটিকে ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় দিবস।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানতঃ অহিংস, অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন এবং বিভিন্ন চরমপন্থী গুপ্ত রাজনৈতিক সমিতির সহিংস আন্দোলনের পথে পরিচালিত এক দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব-মুহুর্তে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয় এবং তার ফলে ভারত ও পাকিস্তান দু’টি অধিরাজ্যের জন্ম হয়।
দেশভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। অনেক মানুষ প্রাণ হারান এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি গেটের উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই সময় থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
দিল্লির লাল কেল্লায় উত্তোলিত হয় ভারতের জাতীয় পতাকা। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ভারতের সরকারি ও বেসরকারি ভবনগুলিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন একটি সাধারণ প্রথা। সেই প্রথা উপলক্ষে, কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মাধ্যমে সারা দেশে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। সেদিন দেশাত্মবোধক গানের অনুষ্ঠান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ প্রচারিত হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে এবং অন্যান্য অফিস-আদালতে মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়। কিন্তু এটি একটি জাতীয় ছুটির দিন হওয়ার দরুন সর্বত্রই পঠনপাঠন ও কাজকর্ম বন্ধ থাকে।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন, বোম্বাই, ২৮শে থেকে – ৩১শে ডিসেম্বর, ১৮৮৫।
১৭শ শতাব্দীর মধ্যেই ইউরোপীয় বণিকেরা ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের বাণিজ্যকুঠি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যে অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তির জোরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের প্রধান শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরের বছর ভারত শাসন আইন পাস হয় এবং উক্ত আইন বলে ব্রিটিশ রাজশক্তি কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসনভার স্বহস্তে তুলে নেয়। পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এক নাগরিক সমাজের উদ্ভব ঘটে। এই সময়কার সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি হল ১৮৮৫ সালে বোম্বাইয়ের গোকুল দাস তেজ পাল সংস্কৃত কলেজে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় প্রশাসন ব্যবস্থার কিছু সংস্কার সাধনে প্রবৃত্ত হয়। মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার ছিল এর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সেই সঙ্গে রাউলাট আইনের মতো দমনমূলক আইনও পাস হয় এবং ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীরা স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি তোলেন। এই পর্বের গণ-অসন্তোষ থেকে মোহনদাস করমচন্দ গান্ধীর (মহাত্মা গান্ধী) নেতৃত্বে অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন ঘনীভূত হয়।
১৯৩০-এর দশকে ব্রিটিশ সরকার ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার-সংক্রান্ত প্রস্তাবটিকে আইনতঃ বিধিবদ্ধ করে। এই আইনে যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেই নির্বাচনগুলিতে জয়লাভ করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১৯৫-১৯৭ ভোটে।
পরবর্তী দশকটি ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার দশক। দ্বিতীয়তঃ বিশ্বযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ, শেষবারের জন্য অসহযোগের পথে কংগ্রেসের আন্দোলন এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের নেতৃত্বে মুসলিম জাতীয়তাবাদের উত্থানের মতো ঘটনাগুলি এই দশকেই। ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস পায় ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সঙ্গে। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের আনন্দ বিঘ্নিত হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে উপমহাদেশ বিভাজিত হওয়ার ঘটনায়।
১৯৩০-এর দশকে মাদ্রাজে (অধুনা চেন্নাই) হরিজনদের মাঝে মোহনদাস করমচন্দ গান্ধী। গান্ধী চেয়েছিলেন ২৬শে জানুয়ারি তারিখে পালিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে অন্যতম কর্মসূচি হোক হরিজন সেবা।
১৯২৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ স্বরাজ ঘোষণাপত্র বা “ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র” গৃহীত হয় এবং ২৬শে জানুয়ারি তারিখটিকে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়। কংগ্রেস জনগণকে আইন অমান্যের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার ডাক দেয় এবং যতদিন না ভারত সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে ততদিন সময়ে সময়ে কংগ্রেসের নির্দেশ পালন করতে বলে। ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে একটি জাতীয়তাবাদী অনুভূতি জাগরিত করে তোলার জন্য এবং ব্রিটিশ সরকারকে স্বাধীনতা অনুমোদনে বাধ্য করার জন্য একটি স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ২৬শে জানুয়ারি তারিখটি কংগ্রেস স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করেছিল। সেই সময় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করা হত এবং সেই সব সভায় আগত ব্যক্তিবর্গ “স্বাধীনতার শপথ” গ্রহণ করতেন। জওহরলাল নেহেরু তার আত্মজীবনীতে এই সভাগুলিকে শান্তিপূর্ণ, ভাবগম্ভীর এবং “কোনওরকম ভাষণ বা উপদেশ বিবর্জিত” বলে বর্ণনা করেছেন। সভার পাশাপাশি এই দিনটিতে আরও কিছু করার পরিকল্পনা করেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি মনে করেন, এই দিনটি পালন করা উচিত “… কিছু সৃজনশীল কাজ করে। চরকা কেটে, বা ‘অস্পৃশ্য’দের সেবা করে, বা হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির আয়োজন করে, বা আইন অমান্য করে, অথবা এই সবগুলি একসঙ্গে করে”। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের সংবিধান বিধিবদ্ধ হয় ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি। তখন থেকেই ২৬শে জানুয়ারি তারিখটি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে যুক্তরাজ্যের সরকারি অর্থভাণ্ডার নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় সদ্য-নির্বাচিত লেবার সরকার অনুভব করে, ক্রমাগত অস্থির হয়ে ওঠা ভারতের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ব্রিটেনের জনসাধারণের সমর্থন পাওয়া যাবে না এবং এই ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সাহায্যও পাওয়া অসম্ভব হবে। তাছাড়া স্থানীয় সেনাবাহিনীও যে এই কাজে নির্ভরযোগ্য হবে না, তাও সরকার অনুভব করে। এমতাবস্থায় ১৯৪৭ সালের ২০ই ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি ঘোষণা করেন, ১৯৪৮ সালের ৩০শে জুনের মধ্যেই ব্রিটিশ সরকার ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা অনুমোদন করতে চলেছে।
অবশ্য ভারতের নবনিযুক্ত ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখটি এগিয়ে আনেন। তার আশঙ্কা ছিল, কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে ক্রমাগত তর্কবিতর্ক ও বাকবিতণ্ডা অন্তর্বর্তী সরকারের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির তারিখ ১৫ই আগস্ট দিনটিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখ হিসেবে বেছে নেন। ১৯৪৭ সালের ৩রা জুন ব্রিটিশ সরকার ব্রিটিশ ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। সেই সঙ্গে সরকার ঘোষণা করে, নবগঠিত দুই রাষ্ট্রকে অধিরাজ্য মর্যাদা দেওয়া হবে এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথ থেকে পৃথক হওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা দু’টি রাষ্ট্রেরই থাকবে। এরপরই যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ভারতীয় স্বাধীনতা আইন (১৯৪৭) (১০ অ্যান্ড ১১ জিও ৬ সি. ৩০) অনুসারে ব্রিটিশ ভারত ভারত ও পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভূখণ্ড সহ) নামে দু’টি স্বাধীন অধিরাজ্যে বিভাজিত হয়। এই আইন কার্যকর হয় ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট এবং সেই সঙ্গে নবগঠিত দুই রাষ্ট্রের নিজ নিজ গণ-পরিষদের উপর সম্পূর্ণ আইনবিভাগীয় কর্তৃত্ব অনুমোদিত হয়।
স্বাধীনতা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে, পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তত বৃদ্ধি পায়। দাঙ্গা রোধে ব্রিটিশ বাহিনীর অক্ষমতার কথা মাথায় রেখে ভারতের তদনীন্তন ভাইসরয় লুইস মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জওহরলাল নেহেরু, আবুল কালাম আজাদ, মহম্মদ আলি জিন্নাহ, ভীমরাও রামজি আম্বেডকর প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন। হিন্দু ও শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি ভারতে ও মুসলমান সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যুক্ত হয়, পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়।
লক্ষাধিক মুসলমান, শিখ ও হিন্দু শরণার্থী র্যাডক্লিফ লাইন পেরিয়ে নিরাপদ দেশে আশ্রয় নেন। পাঞ্জাবে শিখ অঞ্চলগুলি দ্বিখণ্ডিত হওয়ায় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হয়। বাংলা ও বিহারে মহাত্মা গান্ধীর উপস্থিতি দাঙ্গার প্রকোপ কিছুটা প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তা সত্ত্বেও আড়াই লক্ষ (২,৫০,০০০) থেকে পাঁচ লক্ষ (৫,০০,০০০) লোক সীমান্তের দুই পারের দাঙ্গায় হতাহত হয়। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট নতুন পাকিস্তান অধিরাজ্য জন্ম নেয়। করাচিতে মহম্মদ আলি জিন্নাহ এই রাষ্ট্রের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে শপথ নেন। মধ্যরাতে অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট সূচিত হলে জওহরলাল নেহেরু তার বিখ্যাত ‘নিয়তির সঙ্গে অভিসার’ অভিভাষণটি প্রদানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ভারতীয় ইউনিয়নের জন্ম হয়। নতুন দিল্লিতে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। মাউন্টব্যাটেন হন স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল।
২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বৎসর পূর্ণ উপলক্ষে “স্বাধীনতার অমৃত মহাৎসব” উদযাপিত করা হয়। এই নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিতে স্বাধীনতার ৭৫তম বৎসর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। স্বাধীনতার ৭৫ বৎসর নিয়ে বক্তব্য রাখেন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা।
—————————————————————
[ সংগৃহীত ও সম্পাদিত। তথ্যসূত্র – উইকিপিডিয়া
সূত্র নির্দেশিকা –
PTI (15 August 2013). “Manmohan first PM outside Nehru-Gandhi clan to hoist flag for 10th time”. The Hindu. Retrieved 30 August 2013.
“69th Independence Day: Security Tightened at Red Fort as Terror Threat Looms Large on PM Modi”। Ibtimes.co.in। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ই আগস্ট ২০১৫ সাল।
Sarkar, Sumit (১৯৮৩ সাল)। Modern India, 1885–1947। Macmillan। পৃষ্ঠা ১-৪. আইএসবিএন 978-0-333-90425-1.
Metcalf, B.; Metcalf, T. R. (৯ই অক্টোবর ২০০৬)। A Concise History of Modern India (২য় সংস্করণ)। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-68225-1.
Wolpert, Stanley A. (১২ই অক্টোবর ১৯৯৯ সাল)। India। University of California Press। পৃষ্ঠা-২০৪. আইএসবিএন 978-0-520-22172-7. সংগ্রহের তারিখ ২০ই জুলাই ২০১২ সাল।
Datta, V. N. (২০০৬ সাল)। “India’s Independence Pledge”। Gandhi, Kishore। India’s Date with Destiny। Allied Publishers। পৃষ্ঠা ৩৪–৩৯. আইএসবিএন 978-81-7764-932-1.
We recognise, however, that the most effective way of getting our freedom is not through violence. We will therefore prepare ourselves by withdrawing, so far as we can, all voluntary association from British Government, and will prepare for civil disobedience, including non-payment of taxes. We are convinced that if we can but withdraw our voluntary help and stop payment of taxes without doing violence, even under provocation; the need of his inhuman rule is assured. We therefore hereby solemnly resolve to carry out the Congress instructions issued from time to time for the purpose of establishing Purna Swaraj.
Guha, Ramachandra (১২ই আগস্ট ২০০৮ সাল)। India After Gandhi: The History of the World’s Largest Democracy। Harper Collins। আইএসবিএন 978-0-06-095858-9 সংগ্রহের তারিখ ২৩শে আগস্ট ২০১২ সাল।
Vohra, Ranbir (২০০১ সাল)। The Making of India: a Historical Survey। M. E. Sharpe। পৃষ্ঠা -১৪৮. আইএসবিএন 978-0-7656-0711-9. সংগ্রহের তারিখ ২০ই জুলাই ২০১২ সাল।
Ramaseshan, Radhika (২৬শে জানুয়ারি ২০১২ সাল)। “Why January 26: the History of the Day”। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১৯শে জুলাই ২০১২ সাল।
Nehru, Jawaharlal (১৯৮৯ সাল)। Jawaharlal Nehru, An Autobiography: With Musings on Recent Events in India। Bodley Head। পৃষ্ঠা – ২০৯. আইএসবিএন 978-0-370-31313-9. সংগ্রহের তারিখ ২৬শে আগস্ট ২০১২ সাল।
Gandhi, (Mahatma) (১৯৭০ সাল)। Collected Works of Mahatma Gandhi। 42. Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India। পৃষ্ঠা ৩৯৮–৪০০. সংগ্রহের তারিখ ২৬শে আগস্ট ২০১২ সাল।
… in doing some constructive work, whether it is spinning, or service of ‘untouchables,’ or reunion of Hindus and Mussalmans, or prohibition work, or even all these together.
Hyam, Ronald (২০০৬ সাল)। Britain’s Declining Empire: the Road to Decolonisation, 1918–1968। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা-১০৬. আইএসবিএন 978-0-521-68555-9.
By the end of 1945, he and the Commander-in-chief, General Auckinleck were advising that there was a real threat in 1946 of large-scale anti-British disorder amounting to even a well-organized rising aiming to expel the British by paralysing the administration.
…it was clear to Attlee that everything depended on the spirit and reliability of the Indian Army:”Provided that they do their duty, armed insurrection in India would not be an insoluble problem. If, however, the Indian Army was to go the other way, the picture would be very different.
…Thus, Wavell concluded, if the army and the police “failed” Britain would be forced to go. In theory, it might be possible to revive and reinvigorate the services, and rule for another fifteen to twenty years, but:It is a fallacy to suppose that the solution lies in trying to maintain the status quo. We have no longer the resources, nor the necessary prestige or confidence in ourselves.
Brown, Judith Margaret (১৯৯৪ সাল)। Modern India: the Origins of an Asian Democracy। Oxford University Press। পৃষ্ঠা – ৩৩০. আইএসবিএন 978-0-19-873112-2.
India had always been a minority interest in British public life; no great body of public opinion now emerged to argue that war-weary and impoverished Britain should send troops and money to hold it against its will in an empire of doubtful value. By late 1946 both Prime Minister and Secretary of State for India recognized that neither international opinion nor their own voters would stand for any reassertion of the raj, even if there had been the men, money, and administrative machinery with which to do so.
Sarkar, Sumit (১৯৮৩ সাল)। Modern India, 1885–1947। Macmillan। পৃষ্ঠা – ৪১৮. আইএসবিএন 978-0-333-90425-1.
With a war weary army and people and a ravaged economy, Britain would have had to retreat; the Labour victory only quickened the process somewhat.
Romein, Jan (১৯৬২ সাল)।
The Asian Century: a History of Modern Nationalism in Asia। University of California Press। পৃষ্ঠা – ৩৭৫.
এএসআইএন B000PVLKY4. সংগ্রহের তারিখ ২৪শে জুলাই ২০১২ সাল।
Read, Anthony; Fisher, David (১লা জুলাই ১৯৯৯ সাল)। The Proudest Day: India’s Long Road to Independence। W. W. Norton & Company। পৃষ্ঠা . ৪৫৯ – ৬০. আইএসবিএন 978-0-393-31898-2. সংগ্রহের তারিখ – ৪ঠা আগস্ট ২০১২ সাল।
“Indian Independence Act 1947″। The National Archives, Her Majesty’s Government। সংগ্রহের তারিখ- ১৭ই জুলাই ২০১২ সাল।
Brown 1994, Pg. 330 Quote: “India had always been a minority interest in British publicity life; no great body of public opinion now emerged to argue that war-weary and impoverished Britain should send troops and money to hold it against its will in an empire of doubtful value. By late 1946 both Prime Minister and Secretary of State for India recognized that neither international opinion no their own voters would stand for any reassertion of the raj, even if there had been the men, money, and administrative machinery with which to do so.” Sarkar 1983, Pg. 418 Quote: “With a war weary army and people and a ravaged economy, Britain would have had to retreat; the Labour victory only quickened the process somewhat.” Metcalf ও Metcalf 2006, Pg. 212 Quote: “More importantly, though victorious in war, Britain had suffered immensely in the struggle. It simply did not possess the manpower or economic resources required to coerce a restive India.”
(Khosla 2001, Pg. 299)