পৃথিবীর কোণায় কোণায় পাপে পরিপূর্ণ,
ঠিক হয়েছে কাউকে হাঁটতে দেওয়া হবে না!
হাঁটতে শিখলেই শুধু দৌড়বে–
যদি আকাশের চাঁদ টা নোবেলের মতো চুরি হয়ে যায়!
তাই নব প্রজন্ম শৈশব থেকে বার্ধক্য হামাগুড়ি দেবে
সবার মেরুদন্ড, কশেরুকা, সুষুম্নাকাণ্ড, শিরদাঁড়া যা বলি না নিষ্ক্রিয় অঙ্গ হয়ে যাচ্ছে।
কানের উপপেশী অ্যাপেনডিক্স, চোখের উপপল্লবের দলে হাজির হচ্ছে মেরুদন্ড।
ওই সুষুম্না গান ধরেছে
“সাতটি সারভাইকাল বারো থোরাসিক
পাঁচ লাম্বার পাঁচ সাকরাল
চার কক্সসিক্স”
এই কশেরুকার অংশ গুলো প্রয়োজন নেই
এই নিয়ে একদল বলছে ভালো আরেকদল লঙ্কাকান্ড বাঁধিয়ে দিয়েছে।
মন্ত্রী,আমলা, গামলা সবার মাথায় হাত
তোমরা খোলার আগে আমরা’তো সঠিক সময়ে মেরুদন্ড খুলে দিয়েছি,
কেন নবপ্রজন্মদের খুলে পৃথিবীতে পাঠাচ্ছ!
দরকার হলে ওরা বড় হলে মেরুদন্ড খুলে হামাগুড়ি দেবে,
উফ যেদিকে তাকাই সবাই হামাগুড়ি!!!
না না আমলা দাদা হামাগুড়ি তে কষ্ট কিসের!
সব ভগবানের দাবা খেলার চাল
সব অভ্যাস বুঝেছেন ,
রাজা মন্ত্রী যত মারামারি করুক না কেন
কিস্তিমাত কখনো সখনো বোরে ও করতে পারে!
চারিদিকে এত কান্নার আওয়াজ কিসের!
খারাপদের সাথে থাকতে থাকতে
শুনছি ভালোরাও খারাপ হয়ে যাচ্ছে
লাঠিপেটা করে সবার মেরুদন্ড ভাঙ্গা হচ্ছে!
আজ শেষরাতে এই প্রস্তাব মনোনীত হয়েছে–
আজ থেকে সবাই হামাগুড়ি দেবে।
আমি সজোরে চিৎকার করছি পুজোতে শাড়ি,গাউন ,হিল জুতো পরতে হবে
হামাগুড়ি কেন!
যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন আম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে যাচ্ছি
চোখ খুলে বলি আমার মেরুদন্ড
আরে আমার মেরুদন্ড!
গাড়ি ঘোরাও বাড়িতে ফিরব।
বেশ কয়েকদিন ধরে মাথার মধ্যে আলোড়ন হচ্ছিল শিক্ষা তো জাতির মেরুদণ্ড। বর্তমানে কি চলছে!
“ফেলো টাকা দেও তেল
বড় বড় ডিগ্রী হাসিল”
মেরুদন্ড ঝোঁকালে হাতের মুঠোয় শিক্ষা,চাকরি সব…
তাই স্বপ্নে নিষ্কিয় অঙ্গ হয়ে গেছে সকলের শিরদাঁড়া!