ছিলো রকে বসে আড্ডা দেওয়া
ক্রিকেট নিয়ে কথা
কেন ইংল্যান্ডে ইন্ডিয়ারই
হেরে যাওয়াই প্রথা?
কেন ফুটবলেতে দলবদলে
বিদেশ মানস ছাড়া
মোহনবাগান হারবে জেনে
দীর্ঘশ্বাস ছাড়া?
কেন জন্মদিনে মাংস লুচির
উন্মাদনা নেই
পিৎসা পাস্তা কাড়লো বাজার
মদ্দা কথা এই!
আজ কোথায় কেবা পায়েস বানায়?
আশির দশকেই হতো!
আজ মিও আমোরের বৃহৎ কেকেই
কিস্তিতে মাৎ এ তো!
আগে গল্পের বই পেপারব্যাক
ইংরেজিতে পড়া
আর পড়ারশেষে অদল বদল
তাই তো বাধাধরা।
আগে বিজয়াতে এর ওর বাড়ি
মিষ্টি খাওয়ার লোভে
দামাল ছেলে আমরা সবাই
না পেলে সেই ক্ষোভ হে!
ছিলো রাঙাআলুর পিঠে খেয়ে
কেবলই প্লেট চাটা
আর অ্যারাবিয়ান নাইটস সুরে
গ্রামোফোনের চাবি ঘাঁটা
ছিলো রবার বলে বল পেটানো
কাঁচভাঙা বিস্তর
আর সম্মিলিত ভয়ে পালানো
কী হবে এরপর?
ছিলো ওভারে বল ঝগড়াঝাটি
কখন হবে শেষ?
লাস্ট বল – গায়ত্রী জপ
বচসারই রেশ!
ছিলো চন্দ্র বেদি প্রসন্ন ও
গাভাস্কার বিশ্বনাথ
পারতো এরাই বিশ্বকে যে
করতে বটে কাৎ!
টি ২০? কোথায় তখন?
কেবলই টেস্ট ম্যাচ
লিমিটেড ওভারের ক্রিকেট তখন
নো ম্যাচ নো ক্যাচ
ছিলো ট্রান্জিস্টর রেডিওতে
ক্রিকেট ধারা শোনা
সুশীল দোশি, অজয় বসু –
ভগবান সে মানা!
কেরি প্যাকার সবে এসে
খুললে চ্যানেল নাইন,
ক্রিকেট পেলো নতুন গতি
লিমিটেডেই আইন
কোথায় তখন রঙিন টিভি?
কেবেল বা স্মার্ট নেট
বোকা বাক্সর জম্ম যে হায়
পাল্টে দিলো ” ফেট “!
খেলা হলে সারাপাড়া
পড়তো ভেঙে ঘরে
ফুটবলেতে গলা ফাটাও
ইস্ট মোহন তরে!
কোথায় তখন সুইগি কিম্বা
জোমাটোরই ঠাট
ঘরের মাসি পিসির রান্না
অপূর্ব সব ঘ্যাঁট
কুমড়ো বলো ছ্যাঁচরা বলো
কিম্বা কাঁটার হোক
তা খেতে সব আসতো স্বজন
দূর দূরান্তেরই লোক
আজ হা সে সব গল্প কথা
মা ঠাকুমা কই?
চাঁদের বুড়ির দেশ যে গেছে
তাই আধুনিক রই