বালিডাঙার মাঠ মির্জানগরের মাঠ পেরিয়ে কানানদী পার হয়ে কিছুটা পথ

পৈশাচিক আজকাল ভূতের গল্প কেউ লেখেন না। তার কারণ এই

সন্ধ্যামালতী খুব যে একটা বেশিদিনের কথা, তা নয়। বছর তিরিশ

দক্ষিণবাড়ির মাঠ হাওড়া শহরের ঐতিহ্য মার্টিন কোম্পানির ছোট্ট রেলগাড়িটি আগে

আতঙ্কের রাত সেদিন সকাল থেকেই মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল। পথঘাট জলে

লালুমিঞার মাঠ লম্বায় ছ’ ফুটেরও বেশি। চওড়াতেও তদুপযুক্ত। শক্তসমর্থ বলিষ্ঠ

স্বর্গারোহণ পালা খুব কম করেও পঞ্চাশ বছর আগেকার কথা। কলকাতার

করিম ফকিরের বন বেহালার পরুই দাস পাড়া রোডে, পরুই মৌজায়

কী ভয়ঙ্কর রাত ১৯৫০ সালের কথা। আমরা তিন বন্ধুতে জুনপুট

সন্ধ্যানীড় আমার বন্ধু শিশিরের ওই এক রোগ, যখন-তখন যার-তার সঙ্গে

অকল্পনীয় আমাদের এই লাইনে লাস্ট ট্রেন রাত সাড়ে এগারোটায়। নেহাত

শাঁখটিয়ার আতঙ্ক বর্ধমান জেলার রায়না থানার অন্তর্গত বেডুল গ্রামের গুহ

পীরবাবার রাত আমার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল রেলের চাকরি দিয়ে। বি.

কাঞ্চনকন্যা বাংলা ছায়াছবির যখন সুবর্ণযুগ তখন অধিকাংশ বাংলা ছবিরই শুটিং

চাঁপাডাঙার বাঁধ প্রায় পঞ্চাশ বছর আগেকার কথা। সেকালে হুগলি জেলার

পুষ্কর অনেকদিন আগেকার কথা। হাওড়া বাঁশতলা শ্মশানে রাতবিরেতে মড়া পোড়াতে

বোড়ালের সেই রাত তিরিশ বছর আগেকার কথা। চব্বিশ পরগনা জেলার

ঘনাপুরার কুঠিবাড়ি বিন্ধ্যাচলের কাছে শিউপুরা নামে একটি জায়গা আছে। শীতকালে

গাড়লমুড়ির চর হ্যাঁ, জায়গাটার নাম গাড়লমুড়ির চর। গাড়ল শব্দটা যদিও

অবিশ্বাস্য কয়েকজন জোর তর্কে মেতে উঠেছিলাম। তর্কের বিষয়বস্তু ছিল ভূত।

নিরাকারের কাহিনী বেশ কয়েক বছর আগে বর্ষাকালে বর্ধমান জেলার বলগনার

পুরনো বাড়ি এও কিন্তু সত্যি ঘটনা। আমার জ্যাঠামণির মুখ থেকে

রোমহর্ষক ১৩৪০ সালের কথা। তখন বর্ষাকাল। সেদিন আবার সকাল থেকেই

বছর কুড়ি আগে এই গল্প যারা পড়বে তারা সকলেই হয়তো

আজাহার মথুরার গল্প বর্ধমান সদরঘাটে দামোদর নদের বিস্তীর্ণ বালুকাবেলার ওপারে

অদৃশ্য হাত রাজহাটি গ্রামের শেষ প্রান্তে একটি ছিটেবেড়ার ঘরে এক

জ্যোৎঘনশ্যামের বিপদ গ্রামের নাম জ্যোৎঘনশ্যাম। যেমন দূর তেমনই নিবান্ধাপুর। এখনও

বিদেহী আজ থেকে বিশ-পঁচিশ বছর আগে মিহিজামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটা

প্রেতিনী সেবার ভোটের সময় বরদাবার প্রাইমারি স্কুলে ইলেকশন ডিউটি পড়েছিল

রাতদুপুরে যখনকার কথা বলছি তখন বাঁকড়া, শলপ প্রভৃতি জায়গাগুলো অজ

সাত নম্বর ঘর আমি তখন সবে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে

বিজলের ডাঙা হুগলি জেলার রূপরাজপুরের ‘প্রবোধকৃষ্ণ পাল মহাশয় গল্পটি আমাকে

অশরীরী বর্ধমান সাহেবগঞ্জ লুপে গুসকরা নামে একটি স্টেশন আছে। ব্রিটিশ

রাতের অতিথি সেকালে যখন ট্রেন ছিল না, বাস ছিল না,

কালো সেনের ক্ল্যারিওনেট হাওড়ার বিখ্যাত কালো সেনের নাম কে না

বাঁকিপুরের মস্তান হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে মির্জাপুর বাঁকিপুর নামে একটি স্টেশন

অদ্ভুতুড়ে একবার হুগলি জেলার মৌবাসিয়া গ্রামের হরিপদ কী একটা কাজে

ময়রা সিংহের ভূতের গল্প গল্পটা শুনেছিলুম ময়রা সিংহের মুখ থেকে।

শিমুলতলার মাধবী লজ সে-বছর ঘন ঘন নিম্নচাপের ফলে বর্ষাকালটায় মানুষ

শিবাইচণ্ডীর বিষ্টু মশাল শিবাইচণ্ডীর বিষ্টু মশাল কখনও ভূতে বিশ্বাস করতেন

সৈকত সুন্দরী গোপালপুর অন সী। নাম শুনলেই অনেকের লালা ঝরে।

লক্ষ্মী আচার্যির গল্প হরিহরডাঙার চর। একদিকে নাড়ুগ্রাম, অন্যদিকে ভ্যালাইগাছি। মধ্যে

প্রেত আতঙ্ক তখন শীতকাল। কোনও এক ছুটির দুপুরে আমি নবনির্মিত

ছায়াশরীর অনেকদিন আগেকার কথা বলছি। আমার বয়স তখন তেইশ বছর।

বেলগাছের মহাপ্রভু অনেকদিন আগেকার কথা বলছি। হাওড়া জেলার শিবানীপুরে বৈকুণ্ঠ

সতে মুচি সতে মুচি জাতে মুচি হলেও জুতো সেলাই সে

প্রেতাত্মার ডাক সেবার কলেরার মড়কে বাতাসপুর গ্রামটা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার

দুর্যোগের রাত ১৯৬২ সালের কথা। আমার বয়স তখন একুশ বছর।

ব্রহ্মডাঙার মাঠ যে সময়কার কথা বলছি তখন আমার বয়স চোদ্দ-পনেরোর

রাত্রির যাত্রী বেশ কয়েক বছর আগেকার কথা। এক শীতের রাতে