হেমন্ত আনে শিশিরের স্নিগ্ধতা বিদায় পুজোর আনন্দ আয়োজন,
হেমন্ত আনে হালকা শীতের মলমল স্নিগ্ধতা, নতুন প্রিয়ার কবোষ্ণ আপ্যায়ন ।
হালকা কুয়াশা পিঠে মিঠে রোদ্দুর, পরাণে জেগেছে ঘুরে বেড়ানোর সুর
পাকাধানক্ষেতে বাতাসের প্রহেলিকা , ভূষণবিহীনা রিক্তবসনা নূর।
হেমন্ত শীত জড়াজড়ি করে আসে, অন্নপূর্ণা শুভলক্ষ্মীকে আনে দ্বারে,
হেমন্ত ডেকে এনেছে শীতের পরশ, ফুলেরা সেজেছে আসবে গো মন্দিরে ।
শীতের বাতাসে পাতা ঝরে গেছে কবে, কুয়াশার সাথে শিশির পড়ছে ঝরে,
ঘোলাটে আকাশে ম্লানমুখে রবি ছবি, উত্তুরে বায় সারা দেশে দেয় পাড়ি।
আকাশ মেঘলা রোদ্দুরে তাপ নেই, যদিও শীতের আনাজ উঠেছে ভারি
হাইব্রিড তাই খেতে স্বাদ নাই পাঁচ মেশালি ব্যঞ্জন ও চচ্চড়ি।
কপি ও বেগুন হালেতে আগুন পকেটে চালায় ছুরি
শীতের আনাজ খেতে বড়ো সাধ কি যে করি ভেবে মরি।
শীতের মেঘলা দুপুরের কথা ভাবি, কুয়াশা চাদর জড়ানো দিনের রবি
রোদে তাপ নাই গ্রীষ্মে ভাবি নাই কাঁথা কম্বল ধরি।
কাঁথা কম্বল বিছানায় তোল, সোয়েটার চাদর নিয়ে কতো কাড়াকাড়ি
যাদের শীতের বস্ত্র কিছুই নাই শীত আসে নিয়ে তাদের দুখের ঝুড়ি।
কতো মানুষ ই তো খোলা আকাশের নীচে, কোনো মতে শীতে কুঁকড়িয়ে শুয়ে আছে
তাদের কি মজা লাগে এই মরা রোদে, সারাদিন ধরে ঘোলাটে কুয়াশা আছে।
রিক্তবসনা শীতে জবুথবু বুড়ী, শীত এনে দেয় এমন সে সুড়সুড়ি
গাছেরা রিক্ত হয়েছে বাতাস ভারী, আসে নবান্ন আকাশে উড়বে ঘুড়ি।
পৌষ আর মাঘ শীতের আকাশ বুড়ি, মাঝে মাঝে মিঠে রোদের আরাম পাই
মিঠে রোদ আর শীতের কুয়াশা সাথে বনভোজন আর কমলার জুড়ি নাই।
মরসুমি ফুল শীতের বাহার আনে, সপ্তম সুর ষড়যে মধুর গলার আনন্দ গানে
যুগপৎ সুখ দুঃখ ও শীত আনে, ভালো মন্দয় কুয়াশার রোদ শীতের আনন্দ প্রাণে।।