চরম অনিচ্ছের প্রাবল্যে ভেসে চলে সারাদিন
খণ্ড খণ্ড দ্বীপবাসীনি মেঘে নেই কোনো কোলাহল,
বিলম্বিত সকালের সময়সারণীতে গুঞ্জরিত আশাবরী সংলাপ
ক্ষতচিহ্ন গুলো ঢাকা পড়েছে বিষণ্ণ তাচ্ছিল্যে,
শিলালিপি জুড়ে অগোছালো আঁকিবুঁকিতে বাঙ্ময় অবাক চিত্রকল্প।
সন্তর্পনে খোঁজ চলে অতল জলের চেনা পরিচিত উৎস-
উজ্জ্বল রোদ্দুরের মাঝপথে থমকে যায় সুষম বিন্যাসের গতিপথ,
কষ্টের ভেজা সংলাপে ছুঁয়ে যায় মোহিনী শরতের নীল উন্মাদনা।
যাপনে অবয়ব ছাপিয়ে ছায়া দীর্ঘ হয়ে আসে
পরাজিত স্বপ্নগুলো ভীড় করে আসে দু’চোখের পাতায়,
রাত গভীর হলে বাড়ে সখ্যতার বিবিধ কৌশল
হাঁসফাঁস নিষ্ফল আশ্বাস লিপিবদ্ধ করে চলে অতৃপ্ত সাতকাহন।
শূন্যতার বৃত্তেই চলে অনর্থক ঘুরপাক
অদৃশ্য ডানায় জমে স্তূপীকৃত কল্পনার রূপকথা,
অনন্ত ভালোলাগার অলীক জোছনায় বুঁদ হয়ে থাকে সময়-
তবু মনের গহীন কোণ খোঁজে শীতলপাটি সুখ।
নিরন্তর জরিপ চলে সম্পর্কের মানচিত্রে
মনের অলিন্দে সাবলীল চলাচল বাধাপ্রাপ্ত সংকোচের পরিখায়,
দলছুট মেঘের কাছে খবর ছিল সংঘাতের
তবু মুক্তির খোলা জানালায় অপেক্ষা শুধু নীল আকাশের.