আবার যদি পেতাম ফিরে সেই পুরাতন হাট
সন্ধ্যায় যেথা জ্বলে না প্রদীপ প্রভাতে পড়ে না ঝাঁট।
বেল পাহাড়ীর পথের দুধারে আকাশমণির ঝাঁক
হলুদ রঙের আকাশমণিরা করছে বাজিমাত।
আকাশমণির জঙ্গল পারে কুমারী নদীর বাঁক
মুকুট মণির সরোবর জুড়ে পরিযায়ী পাখি ঝাঁক।
মৌসাবনীর যে দিকে তাকাই মহুয়া ফুলের গাছ
তামা পাওয়া যায় এখানে খনিতে তাই এতো নামডাক।
মৌসাবনীর পাহাড়ীয়া মাঠে শুক্রবারের হাট
মোরগ লড়াই সে প্রথমবার শুনি কতো হাঁকডাক।
পায়ে বাঁধা থাকে ছোট ছোট ছুরি পেট চিরে দেয় কিনা
প্রথম বারের সে লড়াই দেখে দারুণ উত্তেজনা।
মুকুট মণির অপরূপ শোভা আরবার ফিরে যাই
সাইবেরিয়ার রাজহাঁস ভাসে জলাধারে দেখা পাই।
নেতার হাটেতে হাট বসে নাকো পাইনের বনে হানা
কোয়েলের চরে কি ঈশারা ঘোরে ওখানে তো যেতে মানা।
রাজারাপ্পাতে মেলা বসে বটে পুজো হয় দেবী মার
হাট বসে কিনা সেটা তো জানিনা সোম শুক্কুরবার।
কোথায় ভার্সে কোথা রংপোতে দোকানের সারি সারি
হাটের মাধুরি নিলো চুরি করি হাট সন্ধান করি।
অমর নাথের পথের দুধারে ফেরিওয়ালা সারি সারি
মুসলিম বেচে পূজার অর্ঘ তাই নিতে হুড়োহুড়ি।
দেবতার কাছে মঙ্গল যাচে জাতপাত মুছে যায়
হাট নাই থাক কেনা বেচা চলে বিভেদ দূরে পালায়।
জীবনের যত লেনাদেনা চলে হাট বারে বেচা কেনা
দেবতার হাটে বাঁধা পড়ে আছে সব মানুষের দেনা।।