ভালোবাসার ছড়াছড়ি
লুট হয়ে যায়, কুড়িয়ে নাও
সস্তা, মোটা, রংচং উঠা
ম্যাড়ম্যাড়ে, ঝরঝরে
হাফগেরস্ত, ধোপদুরস্ত…
ব্রেক ফেলে তৃতীয় নয়ন খোলে
গোবর্ধন পাহাড় চূড়ায়
ট্যারা চাঁদের মতো দোলে
রসে বশে ভাঙ্গাবাড়ির গল্প নিয়ে
মর্মছেঁড়া স্মৃতি বয়ে বেড়ায়।
হ্যামলিনের বাঁশির সুরে
ইঁদুর দৌড়ে ছোটে
ঝটকা খেয়ে হঠাৎ জেগে উঠে
পাসপোর্ট পেলে রকেট হয়ে ছোটে
এর ঘাড়ে তার মাথায়,
হুড়মুড়িয়ে পড়ে
হাসপাতালে ছোটে
হাফ ব্যান্ডেজ, ফুল ব্যান্ডেজ নিয়ে
শিশুর মতো পা ছড়িয়ে কাঁদে
রক্তপাতের মাজাঘষায়
খাটিয়া ধরে বাঁচে
নাকের জলে, চোখের জলে
নীল নদের বন্যা ডেকে আনে
হৃদয় বেচারা দমকলের ঘন্টধ্বনি শুনে
পাগল হয়ে নাচে
হায় বেচারা! কেমন কেমন কাঁটার ঘায়ে
এপাশ ওপাশ ফোঁড়ে
বিষজ্বলুনিতে হাপিত্যেস করে কাঁদে
যন্ত্রণা যে কম নয় তাই কপাল ঠুকে মরে
কীর্তিনাশা ভালোবাসায় লন্ডভন্ড সব
কেষ্ট ঠাকুরের বংশীধ্বনি
বেসুর তখন ঠেকে
নাই বা হলো ধোঁকার টাটি
রঙ বাহারী ভেলকিবাজী
রাসতলে জ্যোৎস্না মালঞ্চে
থাকুক না হয় পদাবলীর
পূর্বরাগের ঝঙ্কার
বিরহ-মিলনে, অভিসারে, সুধারসে
হৃদয়ের স্তবকে স্তবকে উছলে উঠূক
ভালোবাসার পদ্মকেশর রঙ—
বালুকাবেলায় ভালোবাসার কাছে
নতজানু আমি…..