শ্রাবণের ধারায় ভিজিয়ে দাও।
ঝিরিঝিরি এই ঝরণা ধারায় ধুইয়ে দাও দুই নয়ন।
গভীর আকুলতায় যেই বাড়িয়ে দিলাম হাত তোমার হাতে।
অমনি শুকনো পাতায়,তরুলতায় বুক ফাটা মাটি পেল প্রাণ।
নব আনন্দে!
ভেজা মাটির স্তরে স্তরে আকুল করা সোঁদা মাটির ঘ্রাণ।
নতুনের আহ্বানে!
আজানুকেশ ভিজিয়ে নিলাম আমি আকাশ ছেঁচা জলে।
বকুল গাছের তলে।
কিন্তু তুমি নেই বাহিরে অন্তরে….
ভিতরে বাহিরে জমাট বাঁধা কালো মেঘ করে।
তুমুল বাঁধ ভাঙা বৃষ্টি আমার বুকের ভিতর ঝরে!
অথচ দেখ চেয়ে, মেঘ বৃষ্টির সখ্যতা যুগ যুগান্তর ধরে।
কোন অভিযোগ না রেখে বকুল নীরবে ঝরে!
বিদায় বেলায় সুঘ্রাণ টুকু ছড়িয়ে দিয়ে যায় তোমার ভিতরে বাহিরে।।