সে ছিল একদিন আমাদের যৌবনে কলকাতা।
বেঁচে ছিলাম বলেই সবার কিনেছিলাম মাথা
আর তাছাড়া ভাই
আর তাছাড়া ভাই, আমরা সবাই ভেবেছিলাম হবে
নতুন সমাজ, চোখের সামনে বিপ্লবে বিপ্লবে
যাবে খোল-নলিচা
যাবে খোল-নলিচা পালটে, বিচার করবে নীচুজনে,
—কিন্তু সেদিন খুব কাছে নয় জানেন সেটা মনে
মিত্র বাবুমশয়
মিত্র বাবুমশয় বিষয়-আশয় বাড়িয়ে যান তাই,
মাঝেমধ্যে ভাবেন তাদের নুন আনতে পান্তাই
নিত্য ফুরোয় যাদের
নিত্য ফুরোয় যাদের সাধ-আহ্লাদের শেষ তলানিটুকু
চিরকাল রাখবে তাদের পায়ের তলায় কুকুর
সেটা হয় না বাবা
সেটা হয় না বাবা বলেই থাবা বাড়ান যতেক বাবু
কার ভাগে কী কম পড়ে যায় ভাবতে থাকেন ভাবুক
অমনি দু’চোখ বেয়ে
অমনি দু’চোখ বেয়ে অলপ্পেয়ে ঝরে জলের ধারা
ভাবেন বাবু হা বিপ্লবের সব মাটি সাহারা
কুমির কাঁদতে থাকে
কুমির কাঁদতে থাকে আর আমাকে নামা নামা বলে
কিন্তু বাপু আর যাব না চড়াতে জঙ্গলে
আমরা ঢের বুঝেছি
আমরা ঢের বুঝেছি খেঁদি পেঁচি নামের এসব আদর
সামনে পেলেই ভরবে মুখে প্রাণ ভরে তাই সাধো
তুমি সে বন্ধু না
তুমি সে বন্ধু না যে ধূপধূনা জ্বলে হাজার চেখে
দেখতে পাবে তাকে সেকি যেমন তেমন লোকে
তাই সব আমাত্য
তাই সব আমাত্য পাত্র-মিত্র এই বিলাপেই খুশি
হাঁড়িখানাই আসল সত্য আর’ত সবই ভুষি
ছিছি হায় বেচারা
ছিছি হায় বেচারা শুনুন যারা মস্ত পরিত্রাতা
এ কলকাতার মধ্যে আছে আর একটা কলকাতা
হেঁটে দেখতে শিখুন
হেঁটে দেখতে শিখুন ঝরছে কী খুন দিনের রাতের মাথায়
আরেকটা কলকাতায় সাহেব, আরেকটা কলকাতায়
সাহেব বাবুমশাই |