Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » প্রিকসিয়াস পিউবার্টি || Suchandra Basu

প্রিকসিয়াস পিউবার্টি || Suchandra Basu

জীবনে মানুষকে নানারকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই নিজের পরিস্থিতি নিয়ে ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিজন ছাড়া কারও সঙ্গেই তা আলোচনা করতে পারে না। সেইরকম এক বাস্তব পরিস্থিতির রহস্য আজও অজানা। আজও পেরুর বাসিন্দা সাতাশি বছরের লীনাকে তাড়া করে বেড়ায় সাংবাদিকরা। বাস্তবে লীনা যে পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন তা বিশ্বাস করাই অসম্ভব।অবিশ্বাস্য এই কারণে যে, তিনি যখন পাঁচ বছর বয়সী তখন তিনি প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। এই খবর বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে তা তিনি জানতেন না।খবর মাধ্যমেই জানা যায়,লীনা নয়জন ভাইবোনের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে উঠছিল। অন্যান্যদের বয়সের তুলনায় আগেই বয়ঃসন্ধি প্রাপ্ত লীনার পেট ক্রমশ বাড়তে থাকে। মা-বাবা, আত্মীয়-পরিজন থেকে চিকিৎসক সবাই প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন পেটে টিউমার হয়েছে।

পিসকো হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারা যায় লিনার গর্ভে সন্তান বড় হচ্ছে। পাঁচ বছরের লিনা তখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সবাই চিন্তিত যে ৬ বছর হওয়ার আগেই লীনা কিভাবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর আগে এমন উদাহরণ ছিল না। অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতি তখন বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকদের ভাবিয়ে তোলে।

লিনাকে নিয়ে চিকিৎসক মহলে নানা গবেষণায় জানা যায়, ৮ মাস বয়স থেকেই ঋতুস্রাব শুরু হয়েছিল তার। অর্থাৎ তখন থেকেই প্রজননশীল হয়ে পড়েছিল সে।চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে বলা হয় প্রিকসিয়াস পিউবার্টি। অর্থাৎ সময়ের অনেক আগেই প্রজনন ক্ষমতাকপ্রাপ্ত হওয়া। মস্তিষ্কের যে অংশ থেকে যৌন হরমোন নিঃসৃত হয়, সেই অংশেরই কিছু সমস্যার কারণে এমনটি ঘটে থাকে। যা বিরলতম ঘটনা। এই ঘটনার কারণ পরিষ্কার হলেও লিনার ওপর যৌন হেনস্থার বিষয় প্রোকট হয়ে ওঠে। ছোট্ট লিনার সন্তানের বাবা কে তা নিয়েও তদন্ত হয়। এ ঘটনায় তার বাবাকে সন্দেহ হওয়ায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায়, বাবাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করে লিনার প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। যে চিকিৎসক তার অস্ত্রোপচার করেছিলেন তারই নামানুসারে সন্তানের নাম রাখা হয় গেরার্ডো।লিনা এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক গেরার্ডো লোজাডার ক্লিনিকে সেক্রেটারির কাজ করে উপার্জনের টাকায় ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষ করেছিলেন। দশ বছর বয়সে ছেলে জানতে পারে লিনা তার দিদি নয়।লিনা তারই গর্ভধারিনী মা।লিনা তখন চিকিৎসককে বিয়ে করতে বাধ্য হয়।কারণ গর্ভে তখন তার দ্বিতীয় সন্তান এসে গেছে। মাত্র ৪০ বছর বয়সে অস্থিমজ্জা সংক্রান্ত রোগে প্রথম সন্তান মারা যায়। আজও লীনার যৌন হেনস্থা রহস্যময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *