নদীর ধারে ভুতুড়ে পোড়ো বাড়িটায় নতুন মানুষ এসেছে
মরচে পড়া লোহার গেটটা খোলা হল কতকাল পরে
আগাছার মধ্যে ফুটে আছে অনেক নয়নতারা
ওরা দেখছে আর খুশি হয়ে ঢলে ঢলে পড়ছে এ ওর গায়ে
লাল রঙের চটি পরা দুটি ফরসা পা, গোলাপি শাড়ি পরা
কিশোরীটির কাঁধে ফুটে গেল বাবলা কাঁটা
পিঁপড়ের চোখের মতন এক বিন্দু রক্ত
সে কি এই বাড়িটার গল্প জানে?
মিস্তিরিরা ভাঙা জানলা সারিয়ে রং লাগাচ্ছে সবুজ
পাশাপাশি দুটি বাঁশের মইতে চেতন মিস্তিরি
আর তার অন্ধ ছেলে
ছেলেটির হাতেই রঙের বুরুশ
দুপুরবেলায় ঘূর্ণি হাওয়ায় সে অনেক কিছু শুনতে পায়
ওরা দু’জনেই এক সময় ডানা মেলে উড়তে চেয়েছিল
অন্য দুনিয়ায়
ছেলেটিই বেশি দূরে চলে গিয়েছিল, তাই ঝলসে গেছে
তার চোখ
এখন সে জাগরণের মধ্যে গন্ধ পায় ঘুমের
চেতন মিস্তিরির চোখ বুজে আসতেই সে বলে উঠল,
আব্বাজান, সাবধান
ততক্ষণে উলটে গেছে রঙের কৌটো
অন্দরমহলে শোনা যাচ্ছে তিন রকম কণ্ঠস্বর