কে তুমি এসেছ রাতে যাদু কাঠি নিয়ে হাতে
কেন জানিনা যে রাতে কতো স্বপ্ন একসাথে
আসে আর চলে যায় মরিচীকা সম।
যতই দুহাত বাড়াই স্বপ্ন মুঠো ধরতে চাই
বাগ তারা মানে না কখনো। রাত গভীরতা পেলে
সব দীপ নিভে গেলে এ পৃথিবী শূন্যে দোলে
বারবার অভিঘাতে হৃদকম্প মম।
নেভা দীপ জ্বালি তাই জানি না যে কি হারাই
সব কিছু ভুলে যাই লুপ্ত জ্ঞান সম।
আকাশের সীমানায় গ্রহ তারা দেখা যায়
তারা অগণ্য হয় গুণে আমি দেখিনি কখনো।
কেন তারা ওঠে রোজ কেউ রাখে না তো খোঁজ
জ্বলে আর নিভে নিজ কর্ম করে যায়।
চাঁদ ওঠে এক রাতে গ্রহ তারাদের সাথে
অপলকে চেয়ে দেখে কর্মকাণ্ড যত।
কেউ নিশাচর হয় মানুষ অমানুষ হয়
কুকর্ম কে ঢাকা দেয় হিংস্র পশু সম।
রাতে তারা খসে পড়ে কে ভোরের অপেক্ষা করে
ফুল ফোটা দেখে ডোবে চন্দ্রবিন্দু সম।
নব রবি জেগে ওঠে ফুল ফোটে হাসি মুখে
চেয়ে থাকে চরণেতে ঠাঁই হবে যেন।
কখনো সে গলে দোলে বিশ্ববাসী রূপে ভোলে
সুন্দর মুখের জয় সর্ব লোকে মানে।
প্রভাতে মলয়ানিলে ঘুম ঘোর না ভাঙিলে
সংসারের যত কাজ বিলম্বিত হয়।
হাজার কাজের মাঝে নিশি স্বপ্ন মনে বাজে
কতো লোক তাই বুঝি আনমনা হয়।
নিশার স্বপ্ন টানে উর্বশী অপ্সরা মনে
কতো স্মৃতি কথা মনে উঁকি দিয়ে যায়।
সংসারের খেলা ফেলে বসে যায় তরুমূলে
সেথা যদি শান্তি মেলে মন ভরে তায়।
যেখানে কালের সীমা সেথা যেতে আছে মানা
নিবিড় বাঁধনে মায়া বেঁধে রেখে দেয়।
উদ্বেগের তল খুঁজি মনে মনে জল বুঝি
কতো দিন আছে বাকি হিসাব মেলাই।
খর বায়ু বয়ে যায় বর্ষা এসে প্রাণ জুড়ায়
ভাবি সবই স্বপ্নময় দোলাচলে দুলি।
এ পৃথিবী শান্ত হয় নিজেরই সে মহিমায়
এই রোদ এই বৃষ্টি সবই তার করুণায়
মিছে ভেবে মরি। দোলাচলে দোলা তাই
বন্ধ করেছি ভাই যা হবার তা হবে ভাই
মিছে চিন্তা করি, মিছে ভয়ে মরি।।