Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » গাভীর শৃঙ্গার || Subodh Sarkar

গাভীর শৃঙ্গার || Subodh Sarkar

বিষুব পর্যন্ত গিয়ে ভাগ্য ঘুরে গেল গন্ধকেশরের নীচে।
সোনার থালায় রাখো মাছ, বটের পাতায় রাখো আয়না, সিঁদুর
এর চেয়ে শুভচিহ্ন আর কিছু নেই;
দয়াময়ী তাঁর সত্তর বছরে আরও একবার উঠে এসে বললেন:
দু’ভাগের এক ভাগ যাবে ঘোষালবাড়িতে, আর এক ভাগ
পাঁচ এয়োতির হাত ঘুরে উনুনে উঠবে;
কুমার গন্ধর্ব তবু ডাকে, এসো, মরুভূমি শেষ হচ্ছে—তিসরি মঞ্জিল।
তবে কম্যুনিস্টদের ফিরিয়ে এনেছে আমার ছেলেরা? সুচে সুতো
পরাবার ছলে বিরাশির মে মাসে দিগন্তে তাকালেন দয়াময়ী
ঝড়ে দেখা গেছে ঘূর্ণির আবর্তে ধরা একচক্ষু মাথা—
সেই ত্রিনয়ন
কালো কুচকুচে জামফল—ভৃগুর তাণ্ডব,
সেই চালাচ্ছে জগৎ।
শ্রীচরণেষু বড়দি—আপনার স্বামী, দেখবেন, এবার শ্রাবণে
ঠিক ফিরে পাবে চোখ
কাঁদবার জন্য ওই অপরূপ আঁখি খুব দরকার ছিল।
হেড লাইটের আলো নাচে হরিদ্রার বনে, আমি ভয়ে ভয়ে
এক পা পিছেই, এক পা এগোই
এরকম করতে করতে সন্ধ্যাকালে ধরা পড়ে গেছি
সরাসরি প্রেতের পেছনে
লাল ত্রিকোণের মধ্যে এক ফুটো—সেটা লক্ষ করে
আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে ঢুকে গেল।
অন্য পিঠে বের হয়ে দেখি একেবারে ভিন্ন জগৎ
হিজড়েরা হাতে চেরিফুল নিয়ে বাড়ি বাড়ি নবজাতক নাচাচ্ছে
তাদের কুৎসিত মুখে সানগ্লাস—প্রতিদিন সূর্যাস্ত পিছিয়ে
দিচ্ছে জটিল স্ত্রীরোগে
কুলোয় বিছানো দোক্তাপাতা
সেখানে পাহারা দিতে দিতে
দয়াময়ী ভাবলেন: দুয়োরে এলেও পাপ, অমঙ্গল হবে
ছোটবউমার—
আজ এ বয়সে
সবই সমান—বাটা হলুদ, রক্ত, গুটিবসন্ত, পুঁইবীজ
সবই চোখে এক ফুট থেকে কাছে আসে, ফের
ধীরে ধীরে এক ফুট দূরে সরে যায়
এইভাবে, একদিন, মাত্র দুই হাত দূরে তাঁর ছোট নাতনিকে
দাঁড় করাতেই
মনে হল নষ্ট হয়ে গেছে তাঁর আশ্চর্য ভিশন—
লং, মিড, ক্লোজ একাকার হয়ে গলির ভেতর স্থির বস্তু
উইকেটে আটকে গেল।
কুমার গন্ধর্ব ডাকে মরুভূমি শেষ হয়ে যায় তিসরি মঞ্জিল
গুঁড়ো দোক্তাপাতা বমি হয়ে উঠে এল—
তার দুই টন মোটা ভারী দেহে থমথম করে গাভীর শৃঙ্গার
আর এতদিন পরে চুনকাম করা গোলাবাড়ির দেয়াল দেখা গেল ফাঁকা
সেই চুনকাম করা শাদা চুনের ভেতর আজ থেকে থেকে
দেখা দিচ্ছে: ভেলভেট, পীত, জেডব্ল্যাক, দোক্তা, কামরাঙা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress