বারে বারে কেন যে তোমায় ভালোবেসে ফেলি জানি না!
আমার এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।
তোমার ভালোবাসি,বলারও প্রয়োজন ছিল না।
যদি অনুভবে নাই নিতে পারো,
তোমায় বলে দিলাম যেই, ভালোবাসা কম হয়ে যায় না!
ভালোবাসার জন্য কতো কিছু ছিল!
এক গাছ ভর্তি কবিতা ছিল।
আমি তো কবিতাকেই ভালোবাসি।
কবিতা তেই গুমেরে মরি, হাসি, কাঁদি,বাঁচি!
তবুও তুমি বলো আমি কবিতা পড়ি না!
সেই তোমাকেই মনের কথা বলে চলি অনর্গল!
আমার তো এমন হবার কথা ছিল না।
আকাশের বুকে ওই নীল পাখি টাকে ভালোবাসার কথা ছিল। যাকে ধরা ছোঁয়া যায় না।
তবু মনের কথা সে ঠিকই বোঝে!
রাত জাগা পাখির মতো কানে কানে বলে,এই যে তুই নোনা জলে চোখ ভাসালি,
দেখ চেয়ে এই পৃথিবীতে কেউ যে কারোর নয়! রাতে না খেয়ে ঘুমাস না।
সব ভালোবাসাই যেখানে পবিত্র। পবিত্র ভালোবাসার জন্য ফুল বাগান ছিল, যে ফুল বাগানে মালি কখনও বদলায় না।
বুকে আঁচড় কেটে অন্য ফুলবনে যায় না। শুধু সুগন্ধি ছড়িয়ে আবেশে জড়িয়ে থাকে।
ভালোবাসার জন্য বয়ে চলা তিস্তা নদীর কোমল সবুজ বুক ছিল।
সবুজের ছোঁয়া নিয়ে কেন যে তার অতল গভীরে ডুব দিলাম না!
আমার তো তোমাকে ভালোবাসি বলার দরকার ছিল না!
আমার তো সবুজ বনানীর সৌন্দর্য বক্ষে এনে হৃদয়ের চক্ষু দিয়ে দেখার কথা ছিল।
কথা ছিল কোন এক বটবৃক্ষের কোলে আশ্রয় নেবার।
আমার তো কোন মানুষ্য কে ভালোবেসে নিরাশ্রয় হবার কথা ছিল না!
আমার পাহাড়ের মতো শব্দহীন হবার কথা ছিল।
বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার কথা ছিল না। ভালোবাসর জন্য আমার আবাল্য প্রেম বৃষ্টি ছিল!
যার স্পর্শে আজও শরীর মন জুড়ে শিহরণ জাগে,জুড়িয়ে দহন জ্বালা!
ভালোবাসার জন্য কতো কিছু ছিল, তবুও কেন যে তোমায় ভালোবেসে ফেলি,নিজেই ঠিক করে জানি না!
আসলে আমি ভিখারি নই, বিচ্ছিরি রকমের এক কাঙাল।
তাই তো ভালোবেসে ফেলি।তোমায় ভালোবাসা এক ভীষণ রকম অসুখ,গভীর অসুখ, যা সহজে সারে না!