আমি আগামীর অনুল্লিখিত নারী—
বুদ্ধ শ্মশানে মাঝরাতে ফিনিক্স পাখির মতোই আমার প্রস্থান,
এটাকে তথাকথিত বিদায় বোলো না,
তপ্ত দুপুরে আঁধার হাসলে
নিদারুণ নির্মলতায় মেঘের অবগাহন থেকে আমার ফিরে আসা।
ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলন্ত নিষ্পাপ মুখের মিষ্টি হাসি ছুঁয়ে যে অবজ্ঞার শশী বিছায় শান্তির ঠিকানা,
সেই আঁধারে ঘেরা সংগ্রামের পাড় ঘেঁষে
অসহায়ত্বের তীব্র আঘাতের আঙুল ধরে আমার ফিরে আসা।
চোখ থাকতে অন্ধ যারা মূল্যহীন তারাও,
আমায় চিনুক হৃদপিন্ডের বদলে বিষাদের পাহাড় বয়ে নিয়ে বেঁচে থাকা এক দুর্ভেদ্য নিকুম্ভিলা।
আমি হেঁটে চলি দাম্ভিক পদচারণায় যজ্ঞের আগুনে,
আর নখের আঁচড়ে উপড়ে ফেলি অন্ধ সমাজের সকল ক্রুরতা-বন্ধ্যাত্ব।
অসংগতির সকল বাঁধন কেটে
দৃঢ প্রত্যয়ে এক সভ্যতার সীমারেখা মিলিয়ে নিঃসংকোচে গড়ে তুলতে পারি কাব্যের বসতি লালাভ জীবনের আয়ুটুকু কেটে।