অনেক হয়েছে প্রেম – বিরহ – পরকীয়ার কথা,
অনেক হাসি-মজার গল্প ও কাব্যগাথা,
ছেড়ে এবার এসব নকসী- কাঁথা,
লিখতে হবে বেঁচে থাকার দুর্দশার কষ্ট – কথা।
অতিমারী – মন্দা কাটে নি এখনও,
রোজগার গেছে কিংবা কমেছে,
দু’মুঠো অন্ন জোগাতে এখনও নাভিশ্বাস,
নতুন কর্মসংস্থান এখন সোনার পাথরবাটি!
এক-দু’ জন নয়, এক লক্ষ বা কোটি নয়,
কোটি কোটি মানুষের বেহাল মরণ দশা,
লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোজকার ঘটনা,
আগুনের উষ্ণতা লজ্জায় মুখ ঢাকে!
সাধারণের আয় কী বাড়ছে সেই অনুপাতে?
সস্তার হোটেলগুলো দামে তারকাচিহ্নিত,
ডাল-ভাত-সব্জির বদলে খায় ছাতুর সরবত,
হাজার হাজার শ্রমজীবী জনতা।
তবু আমরা কেমন নীরব- নিস্পৃহ – অসার!
শাসকের যথেচ্ছাচার চলতেই থাকবে!
তারা তো আছে বেশ ঝালে-ঝোলে-অম্বলে,
আমাদেরই কষ্টের রোজগারের কড়িতে,
এই শীতলতা পরোক্ষে শাসককে ফ্যাসিবাদী করে,
গণতন্ত্র – সংবিধান সব ভেঙেচুড়ে দিচ্ছে,
সব জেনেবুঝেও আমরা চুপ করে বসে থাকবো?
গৃহের নিভৃত কোণে!
কালো টাকা বা ব্যাংক লুটের টাকা নেই জনতার,
তারপরও অদ্ভুত আশ্চর্য শীতলতা!
এখনও দেওয়ালে ঠেকে নি পিঠ!
আর কবে তবে রুখে দাঁড়াবো??
বল্গাহীন লুটতরাজের ফলাফল কী,
প্রতিবেশী দুটো দেশ দেখে শিক্ষা নেবো না!