আবার এসেছো তুমি বৃক্ষতলে খর পুর্ণিমায়
নিঃশব্দে পেরিয়ে ডোরাকাটা পথ, শাড়ির হিল্লোল
তুলে নিরিবিলি, দেখলাম। মোহন ছন্দের দোল
তোমার সত্তায়, তুমি জোৎস্নাময় হেসে নিরালায়
চলো যাই বলে উঠে গেলে যানে, আস্তে পুনরায়
বসেছি তোমার পাশে আগেকার মতো, ডামাডোল
চতুর্দিকে, পুলিশের হুইসিল, কারো রাগী বোল
ভেসে আসে, কখনোবা রবীন্দ্রসংগীত বয়ে যায়।
জ্যোৎস্নায় তোমার চোখ খৃষ্টপূর্ব শতকের হীরকের
মতো জ্বলে, আবার তোমার হাত মাছ হয়ে খেলা
করে একাকিনী আমার এ হাতে, আমরা পরস্পর
মুখোমুখি চেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের দুজনের
এই রাত্রি সত্য নয়। এতো কুহকের ভুল বেলা-
নিমেষেই অস্তমিত; তারপর কী শূন্য প্রহর!